ব্রিটেনে করোনায় একদিনে ৮শ’ ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ হাজার ৪৬৪ জনে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি।
ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে ক্রমাগত হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার।
ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সাবেক সভাপতি ডক্টর ওয়ালী তসর উদ্দিন এমবিই বলেন, পিপিই নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি এছাড়া যথেষ্ট মজুদ নেই। ইতো মধ্যেই অনেক ডাক্তার নার্স আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে মারাও গেছেন। তবে, তুর্কি থেকে চার লাখ পিপিই ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য আসছে বলে জানায় দেশটির সরকার।
কমিউনিটি সেক্রেটারি রবার্ট জেনরিক বলেন, পিপিই সংকট ছিল এবং চাহিদাও বেশি ছিল। চাহিদা নিরসনে তুরস্ক থেকে পিপিই নিয়ে আসছি রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ব্রিটেনে অর্ধ শতাধিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন।
করোনা ভাইরাসে লণ্ডভণ্ড চীনা, ইতালি, আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিন ব্রিটেনে কমপক্ষে পনের হাজার লোক প্রবেশ করছেন। প্রবেশকালে তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে কিনা তার কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে না। এমনকি তারা বাসায় গিয়ে সেলফ কোয়ারেন্টইন রয়েছেন কিনা সেটি নিয়েও কোন তদারকি নেই। যেখানে ব্রিটিশ সরকার করোনার বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সেখানে এমন ছোটখাটো ভুলগুলোর জন্য ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হতে পারে দেশটিকে।